প্রিয় মোংলাবাসি,
প্রায় আড়াই বছর আপনাদের মাঝে থাকার পরে আমি মোংলা থেকে প্রমোশনজনিত কারণে বিদায় নিয়েছি। আমি বিদায় নেওয়ার পরে মোংলার একটি কায়েমি স্বার্থান্বেষী অশিক্ষিত গ্রুপ মোংলার একজন সরকারি কর্মকর্তার সহায়তায় আমার বিরূদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাকে দুর্নীতির সাথে যুক্ত প্রমাণ করতে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা দেখে নিদারুন মায়া হচ্ছে। আড়াই বছর মোংলায় থাকা অবস্থায় যারা কখনো টুঁশব্দ করেনি আজ তাদের দৌরাত্ম্য ও তৎপরতা আমাকে সীমাহীন বিস্মিত করেছে। একজন মানুষের যখন সশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই তখন, তার বিরূদ্ধে এ ধরণের তৎপরতা শুধু অনৈতিকই নয়, কপটতারও শামিল।
যেটি নিয়ে তাদের তৎপরতাঃ
আশ্রয়ন প্রকল্পে জমি আছে ঘর নাই খাতের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। প্রতিটি ঘরে একটি টয়লেট সংযুক্ত থাকার কথা যেটি সত্যিকার অর্থে অনেক ঘরে নেই বটে। কেন নেই সেটির ব্যাখ্যা জানাতেই এই লেখা।
আমিই মনে হয় সারাদেশে একমাত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে এই প্রকল্পের টাকার হরিলুট ঠেকাতে যার ঘর তার হাতেই টাকা দিয়ে ঘর তাকে দিয়েই করিয়েছি। যে গরীব মানুষটি ঘর পেয়েছে, সে যদি নিজের ঘর নিজেই করে তাহলে সেটা অন্য যেকোন ঠিকাদারের চেয়ে ভালো করবে এটাই ছিল আমার বিশ্বাস। আমরা কঠোর মনিটরিং করেছি। এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো ফল পেয়েছি। প্রতিটি গরীব মানুষ আমাদের দেওয়া এক লাখের সাথে নিজের জমানো কিছু টাকা যোগ করে তার ঘরটা একটু ভালো করে করেছে। সাড়ে ষোল ফুট দৈর্ঘ্য আর সাড়ে দশ ফুট প্রস্থের ঘর, সাথে পাঁচ ফিটের একটি বারান্দা এই বৈশিষ্ট্য যুক্ত ঘর মানুষ তার সুবিধামতো কিছুটা বাড়িয়ে করেছে। কেউ কেউ টিনের বেড়ার পরিবর্তে ইটের গাথুনি দিয়ে ওয়াল করেছে ফলে বেশি দূর্যোগ সহিষ্ণু হয়েছে।
আর প্রতিটা মানুষের বাড়িতে ভালো খারাপ যাইহোক একটা বাথরুম থাকে যা তারা প্রাপ্ত অর্থদ্বারা সংস্কার করেছে অথবা নতুন একটি করেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পিডি স্যারের অনুমতি নিয়েই এরকম কাজ করা হয়েছে। আমার গৃহীত এই পদ্ধতির ফলে মোংলাতে এই ঘরগুলিও হয়েছে ইউনিক এবং সুন্দর। প্রকল্পের ডিজাইন থেকেও সুন্দর এবং অধিক দুর্যোগ সহিষ্ণু।
আমার শক্তিঃ
এই প্রকল্পের অনিয়ম ঠেকাতে আমি সংশ্লিষ্ট ঘর মালিকের হাতে টাকা দিয়েই ঘর করিয়েছি। এবং এখানে কোন ক্যাশ টাকার হ্যান্ডলিং হয়নি। ঘরমালিককে সকল টাকা দুই বা তিন চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ঘরমালিক দুই চেকে সাইত্রিশ বা আটত্রিশ হাজার টাকা পেয়েছে বাকিটাকা গোলামালিক (অসীম বাবু ও শাহারুল গোলদার) পেয়েছে তাও চেকের মাধ্যমে। পুরো টাকার কোন অংশ আমরা ক্যাশ করিনি চেক ছাড়া। আমি সাংবাদিক সহ সকলকে এসব ঘর পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ঘরের মালিকদের সাথে কথা বলে এর সত্যতার প্রমাণ নিতে অনুরোধ করছি।
কেন এই অপতৎপরতাঃ
এর পুরোটাই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট। নির্বাচনে আমার ভূমিকার কারণে একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কোন অনিয়মের সুযোগ নিতে পারেনি। নির্বাচনের পরে তিনি
ও তার পিছনের অশিক্ষিত মানুষগুলো এই অপতৎপরতায় মেতেছে। তাদের প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে আমি যখন মোংলা থেকে বিদায় হয়েছি। সাথে যুক্ত হয়েছেন 'ন' আদ্যক্ষরের একজন সরকারি কর্মকর্তা যিনি মোংলাতে আট দশ বছর একাধারে কর্মরত এবং এটাকে বাড়িঘর বানিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।
মূলত এই সরকারি কর্মকর্তা যাতে এই প্রকল্প থেকে কোন আর্থিক সুবিধা নিতে না পারেন সে কারণেই মূলত ঘরের মালিককে দিয়েই ঘর করানো।
সাংবাদিকদের প্রতিঃ
আমি মোংলাতে যখন ছিলাম তখন সাংবাদিকেরা ছিলেন আমার অকৃত্রিম বন্ধু। প্রেস ক্লাবকে আমি আমার মুক্তমঞ্চ মনে করতাম। আর আজ সাংবাদিকেরা আমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে কাদের হয়ে, কি লিখছে। সাংবাদিকতার ন্যূনতম নর্মসটুকু বজায় রাখছেন না। কোন লেখার আগে অভিযুক্তের বক্তব্য নেওয়া, সেটা হুবহু ছাপানো এগুলি তো আপনারাই বলেন। নুর আলম, সুমন, নিজাম, হাসান(সব হাসান), ইকবাল, মাসুদ, আমু, মোতালেব, জসীম কার নাম বলবো আর কার বাদ রাখবো। এরা সবাই আমার পরীক্ষিত বন্ধু। এমন সময়টাতে প্রেস ক্লাবের সভাপতি উমরাহতে আছেন।
শেষকথাঃ
আমি নিতান্ত একটি সাধারণ পরিবারের ছেলে। গরীবের কষ্ট আমি বুঝি তাই গরীবের হক নিয়ে কাউকে খেলতে দিইনা, দেবো না। আমি নিজেকে গরীবের ইউএনওই মনে করতাম। আমি আমার এই প্রত্যয় থেকে এক চুলও সরবো না তাতে যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক।
সর্বশেষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি এটা উপলব্ধিতে নিয়েছেন যে জনপ্রতিনিধিদের মিনিমাম একটা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার। শিক্ষিত মানুষের সাহচর্য অনেক বেশি মধুর! অশিক্ষিত জনপ্রতিনিধি অনেক বেশি ভয়ংকর!
প্রায় আড়াই বছর আপনাদের মাঝে থাকার পরে আমি মোংলা থেকে প্রমোশনজনিত কারণে বিদায় নিয়েছি। আমি বিদায় নেওয়ার পরে মোংলার একটি কায়েমি স্বার্থান্বেষী অশিক্ষিত গ্রুপ মোংলার একজন সরকারি কর্মকর্তার সহায়তায় আমার বিরূদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাকে দুর্নীতির সাথে যুক্ত প্রমাণ করতে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা দেখে নিদারুন মায়া হচ্ছে। আড়াই বছর মোংলায় থাকা অবস্থায় যারা কখনো টুঁশব্দ করেনি আজ তাদের দৌরাত্ম্য ও তৎপরতা আমাকে সীমাহীন বিস্মিত করেছে। একজন মানুষের যখন সশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই তখন, তার বিরূদ্ধে এ ধরণের তৎপরতা শুধু অনৈতিকই নয়, কপটতারও শামিল।
যেটি নিয়ে তাদের তৎপরতাঃ
আশ্রয়ন প্রকল্পে জমি আছে ঘর নাই খাতের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। প্রতিটি ঘরে একটি টয়লেট সংযুক্ত থাকার কথা যেটি সত্যিকার অর্থে অনেক ঘরে নেই বটে। কেন নেই সেটির ব্যাখ্যা জানাতেই এই লেখা।
আমিই মনে হয় সারাদেশে একমাত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে এই প্রকল্পের টাকার হরিলুট ঠেকাতে যার ঘর তার হাতেই টাকা দিয়ে ঘর তাকে দিয়েই করিয়েছি। যে গরীব মানুষটি ঘর পেয়েছে, সে যদি নিজের ঘর নিজেই করে তাহলে সেটা অন্য যেকোন ঠিকাদারের চেয়ে ভালো করবে এটাই ছিল আমার বিশ্বাস। আমরা কঠোর মনিটরিং করেছি। এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো ফল পেয়েছি। প্রতিটি গরীব মানুষ আমাদের দেওয়া এক লাখের সাথে নিজের জমানো কিছু টাকা যোগ করে তার ঘরটা একটু ভালো করে করেছে। সাড়ে ষোল ফুট দৈর্ঘ্য আর সাড়ে দশ ফুট প্রস্থের ঘর, সাথে পাঁচ ফিটের একটি বারান্দা এই বৈশিষ্ট্য যুক্ত ঘর মানুষ তার সুবিধামতো কিছুটা বাড়িয়ে করেছে। কেউ কেউ টিনের বেড়ার পরিবর্তে ইটের গাথুনি দিয়ে ওয়াল করেছে ফলে বেশি দূর্যোগ সহিষ্ণু হয়েছে।
আর প্রতিটা মানুষের বাড়িতে ভালো খারাপ যাইহোক একটা বাথরুম থাকে যা তারা প্রাপ্ত অর্থদ্বারা সংস্কার করেছে অথবা নতুন একটি করেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পিডি স্যারের অনুমতি নিয়েই এরকম কাজ করা হয়েছে। আমার গৃহীত এই পদ্ধতির ফলে মোংলাতে এই ঘরগুলিও হয়েছে ইউনিক এবং সুন্দর। প্রকল্পের ডিজাইন থেকেও সুন্দর এবং অধিক দুর্যোগ সহিষ্ণু।
আমার শক্তিঃ
এই প্রকল্পের অনিয়ম ঠেকাতে আমি সংশ্লিষ্ট ঘর মালিকের হাতে টাকা দিয়েই ঘর করিয়েছি। এবং এখানে কোন ক্যাশ টাকার হ্যান্ডলিং হয়নি। ঘরমালিককে সকল টাকা দুই বা তিন চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ঘরমালিক দুই চেকে সাইত্রিশ বা আটত্রিশ হাজার টাকা পেয়েছে বাকিটাকা গোলামালিক (অসীম বাবু ও শাহারুল গোলদার) পেয়েছে তাও চেকের মাধ্যমে। পুরো টাকার কোন অংশ আমরা ক্যাশ করিনি চেক ছাড়া। আমি সাংবাদিক সহ সকলকে এসব ঘর পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ঘরের মালিকদের সাথে কথা বলে এর সত্যতার প্রমাণ নিতে অনুরোধ করছি।
কেন এই অপতৎপরতাঃ
এর পুরোটাই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট। নির্বাচনে আমার ভূমিকার কারণে একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কোন অনিয়মের সুযোগ নিতে পারেনি। নির্বাচনের পরে তিনি
ও তার পিছনের অশিক্ষিত মানুষগুলো এই অপতৎপরতায় মেতেছে। তাদের প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে আমি যখন মোংলা থেকে বিদায় হয়েছি। সাথে যুক্ত হয়েছেন 'ন' আদ্যক্ষরের একজন সরকারি কর্মকর্তা যিনি মোংলাতে আট দশ বছর একাধারে কর্মরত এবং এটাকে বাড়িঘর বানিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।
মূলত এই সরকারি কর্মকর্তা যাতে এই প্রকল্প থেকে কোন আর্থিক সুবিধা নিতে না পারেন সে কারণেই মূলত ঘরের মালিককে দিয়েই ঘর করানো।
সাংবাদিকদের প্রতিঃ
আমি মোংলাতে যখন ছিলাম তখন সাংবাদিকেরা ছিলেন আমার অকৃত্রিম বন্ধু। প্রেস ক্লাবকে আমি আমার মুক্তমঞ্চ মনে করতাম। আর আজ সাংবাদিকেরা আমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে কাদের হয়ে, কি লিখছে। সাংবাদিকতার ন্যূনতম নর্মসটুকু বজায় রাখছেন না। কোন লেখার আগে অভিযুক্তের বক্তব্য নেওয়া, সেটা হুবহু ছাপানো এগুলি তো আপনারাই বলেন। নুর আলম, সুমন, নিজাম, হাসান(সব হাসান), ইকবাল, মাসুদ, আমু, মোতালেব, জসীম কার নাম বলবো আর কার বাদ রাখবো। এরা সবাই আমার পরীক্ষিত বন্ধু। এমন সময়টাতে প্রেস ক্লাবের সভাপতি উমরাহতে আছেন।
শেষকথাঃ
আমি নিতান্ত একটি সাধারণ পরিবারের ছেলে। গরীবের কষ্ট আমি বুঝি তাই গরীবের হক নিয়ে কাউকে খেলতে দিইনা, দেবো না। আমি নিজেকে গরীবের ইউএনওই মনে করতাম। আমি আমার এই প্রত্যয় থেকে এক চুলও সরবো না তাতে যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক।
সর্বশেষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি এটা উপলব্ধিতে নিয়েছেন যে জনপ্রতিনিধিদের মিনিমাম একটা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার। শিক্ষিত মানুষের সাহচর্য অনেক বেশি মধুর! অশিক্ষিত জনপ্রতিনিধি অনেক বেশি ভয়ংকর!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন