অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের প্রবেশের সময় ভারতীয় এক দালাল বাংলাদেশি এক নাবালিকাকে জিম্মি করেছিল। এক লক্ষ টাকার মধ্যে কোনও রকমভাবে ছয় হাজার টাকা দিয়ে ভাগ্নিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে গিয়ে দালালদের হাতে ব্যাপক মারধর খেতে হয়েছে মামাকেও। জিম্মির ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদিও আটকে থাকা বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ।
তবে জিম্মি-কারী দালালকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও জিম্মির ঘটনায় সহায়তা করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে ভারতীয় দালালের মা সহ দুই বোনকে।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বনগাঁ থানা এলাকার কালীতলায়।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বনগাঁ থানা এলাকার কালীতলায়।
বনগাঁ থানায় এই ব্যাপারে একটি অপহরণের মামলা করেছেন নাবালিকার মামা অর্জন দেবনাথ।
বনগাঁ থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের অর্জন দেবনাথ বলেন, রাজু নামের এক সীমান্ত দালালের মাধ্যমে নদীয়া কৃষ্ণনগরে মামা বাড়ি আসছিল ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্ত অতিক্রম করে তারা।
এরপর ভাগ্নিকে রাজু ও ফটিক নামের দুই দালাল আটকে রেখে অর্জন দেবনাথকে খবর দেয়।
তাকে এক লক্ষ টাকা নিয়েও আসতে বলা হয়। শুক্রবার রাতে অর্জন বনগাঁ পৌঁছান।
দালালরা তার হাত থেকে এটিএম কার্ড নিয়ে পিন নম্বর চেয়ে জোর করে ব্যাঙ্ক থেকে ছয় হাজার টাকাও তুলে নেয়। বাকি না দিতে পারায় তাকেও মারধর করা হয়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে অর্জন বলেন, বাকি টাকা তিনি যোগার করে আনতে নদীয়া যাবেন। তাই তাকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
দালালরা সেই কথা শুনে তাকে ছেড়ে দিলে অর্জন সরাসরি বনগাঁ থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানায়। পুলিশ এরপরই অভিযান চালিয়ে কালীতলা এলাকা থেকে ফটিকের বাড়িতে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। যদিও অভিযুক্ত রাজু ও ফটিককে পায়নি পুলিশ।
ফটিকের মা ও দুই দিদিকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটি অভিযোগ করে, গোটা ঘটনায় ফটিকের পরিবারও ফটিককে সহায়তা করেছিল।
সুএ :সময় টিভি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন