রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হিংস্র বাঘের আক্রমনে প্রান গেল চারটি গবাদিপশুর।

শেখ রাফসান মোংলাঃ আবারও সুন্দরবনে বাঘের হামলায় প্রান গেল চার'টি গরুর। সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি গ্রামের সাহবানু নামক এক মহিলার চার টি গরু গতকাল আনুমানিক পাঁচ টার দিকে বাঘের আক্রমনের শিকার হয়। খবর পেয়ে সাথেসাথে ছুটে যায় সি,পি,জি কর্মি সেখানে গেলে দেখতে পায় হিংস্র বাঘ গরুর কিছু কিছু অংশ খেয়ে পালিয়ে গেছে।পরে গরু গুলো সুন্দরবনের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসে সিজিপির কর্মিরা। সিপিবির কর্মীরা ধারনা করছেন ঘটনা স্থলে একের অধিক বাঘ ছিল। এদিকে  গরু মারাযাওয়ার কারনে সাহবানুর পরিবার আনেকটা  ক্ষতির মধ্যে  পড়েছে বলে জানায় পরিবারের সদস্য'রা গরুর মালিক সাহবানু যানায় সকালে গরুগুলো প্রতিদিনের মত পার্শবর্তী এলাকায় খাবার খাওয়ার যন্য ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসি, বিকালে গরু আনতে গিয়ে দেখি চার'টি গরুই আহত অবস্থায় পড়ে আছে।গ্রামবাসির সাথে কথাবলে যানাযায় বহু দিন ধরে মোংলার বৈদ্যমারী থেকে  জয়মনি প্রর্যন্ত তিন থেকে চার টি বাঘের আনাগোনা পওয়া যায় প্রতিনিয়ত। তরে এলাকাবাশী বলছে বাঘের লোকালয়ে অবাদ বিচরনে আমরা সংকিত। বিগত বছর গুলোর মত শীত মৌসুমে বাঘের বিচারন'টা একটু বেশি থাকে।  এবং শীতের সময় বাঘ গ্রামে এসে বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশু সহ মানুষের পরেও আক্রমন করে। এলাকাবাশী বলেন বছরে গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি গবাদি পশু বাঘের আক্রমনের শিকার হয়।  শীতকালে বাঘে উপদ্রব গ্রামের দিক বলে ধারনা গ্রামবাসির। তারা আরো বলেন বিগত আনেক বছর যাবত ধরে গ্রামে বাঘ আসার কারনে প্রচুর বাঘ মারা'ও পড়েছে। বাঘ সংরক্ষণ টাইগার টিম বলেন তারা গ্রামে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্যো দিয়ে বিগত দুই তিন বছর জাবত কোন বাঘ গ্রামে মারা পড়েনি। তারা ঝুকি পূর্ন সময় রাত জেগে পাহড়া দেয়। যাতে রাস্তায় চলাচলে জনসাধারনের কোন সমস্যা না হয়। এদিকে জেলেদের সাথে কথা বলে যানা যায় বর্তমান বাঘের চাপ রয়েছে  চাঁদপাই রেঞ্জের নন্দবালা,হারবাড়িয়া সহ মিরগারী এলাকায়। বিভিন্ন সময় জেলে উপার আক্রমন করছে ভয়ে আনেকে সুন্দরবন ছেড়ে'ও দিয়েছে। সুন্দরবনে সৈন্দর্য ফিরাতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমাদের বাঘ সংরক্ষন করতে এগিয়ে আসতে হবে পাশাপাশি বাঘের আক্রমন থেকে রক্ষায় সকল কে সজগ দৃস্টি রাখাতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন