বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মানুষের কামড়ে সাপ নিহত।

শেখ রাফসান।।।। সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হওয়ার ঘটনা নতুন নয় কিন্তু মানুষের কামড়ে সাপের মৃত্যুর ঘটনা বিরল। আর এমনই ঘটনা ঘটেছে শিলচর লোহাইরপোয়া এলাকার হাতিখিরা চা বাগানে। ৩৮ বছরের যুবক মুন্না এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুক্রবার হাতিখিরা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বিজয়মল দুষাদ জানান, প্রথমে ‘পাতালত’ নামক একটি বিষাক্ত সাপ যুবক মুন্নাকে বেশ কয়েকবার কামড় দিলে উল্টে যুবকটি যখন রেগেমেগে সাপকে কামড় দিল তখনই মারা পড়ে বিষাক্ত ‘পাতালত’ সাপটি। বর্তমানে ঐ যুবক শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তিনি সংকট মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে তাঁর পুরো শরীর ফুলে গেছে।
চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি সম্পর্কে হাতিখিরা বাগানের বাসিন্দা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, পাথারকান্দির বালুরবন্দ চা বাগানের বাসিন্দা মুন্না হাতিখিরা বাগানে তাঁর জামাইবাবু মানিক ভুমিজের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন মুন্না জামাইবাবুর বাড়ির একটি বাঁশঝাড় থেকে ‘পাতালত’ জাতীয় একটি সাপ ধরে এনে আশে পাশে থাকা কয়েকজনকে তাঁর বাহাদুরি দেখাতে শুরু করেন। খেলা দেখানোর সময় তাঁর শীররের বেশ কয়েক জায়গায় কামড়ে দেয় সাপটি।
কিন্তু এরপরও মুন্না সাপটিকে ছেড়ে দেন নি। মুন্না শরীরের ব্যাথা উপশম করতে পেট ভরে চোলাই মদ পান করেন। মুন্নার ইচ্ছা ছিল সাপের দেহ থেকে আসা বিষ উল্টে তার শরীরেই ফিরিয়ে দেবে। আর এই অভিপ্রায়ই মুন্না সাপের শরীরে বেশ কয়েকটি কামড় বসিয়ে দেয়। এরপরই ঘটে যায় বিস্ময়কর ঘটনাটি।

যারা সাপের খেলা দেখতে এসেছিলেন তাঁদের চোখের সামনে কিছুক্ষণের মধ্যে সাপটি মরে যায়। এ ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে স্থানীয় জনগণের চেষ্টায় মুন্নাকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলচর মেডিকেল কলেজে।
সূত্র: অনলাইন

অসাধারন এক খেলোয়ার যিনি হলেন।

আঙুলে ব্যাণ্ডেজ নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যায় আমাদের পাগলা তামিম, ব্যাথা কমানোর ইঞ্জেকশন পুশ করে মাঠে নামে সুপার সাকিব, পাজড়ে চিড় নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাট চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুজি তুলে দেয় ডিপেন্ডেবল মুশি, পায়ে কার্ফিং প্রব্লেম নিয়ে খোড়াতে খোড়াতে বল করে শেষ বলে দলকে জিতিয়ে দেয় চিরসবুজ মুস্তাফিজ।
এই যে মোমেন্টামগুলো তৈরী হচ্ছে, এই যে ডেডিকেশনগুলো,  এদের নেপথ্যের নায়ক এক মাশরাফি বিন মূর্তজা। হাটুতে সাত সাতটা মেজর অপারেশন নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ক্যারিয়ারকে টেনে নিয়ে যাওয়া মাশরাফি গোটা দলকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছে, 'হোয়াট ইজ দ্যা লেভেল অব ডেডিকেশন'।
ব্রেক থ্রু দরকার, মাশরাফি। দ্রুত কিছু রান তুলতে হবে, মাশরাফি। ক্যাচ নিতে হবে, মাশরাফি। মোটিভ দরকার, মাশরাফি। কইলজা দরকার, মাশরাফি। দলের যেকোন প্রয়োজনের নাম, মাশরাফি। গোটা দলের উজ্জিবনী শক্তি, মাশরাফি।
মাশরাফি জানে কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়, মাশরাফি জানে তাকে কি করতে হবে। আজকে মালিক - ইমাম  জুটিটা যখন চোখ বড় করে হুংকার ছাড়ছিল ম্যাচ বের করে নেবার, উড়ন্ত বাজ পাখির মত প্রায় অসম্ভব একটা ক্যাচ লুফে নিল। ম্যাশ ছাড়া কি আদৌ সম্ভব ছিল এটা? গোটা ম্যাচে ম্যাশ আজ যা যা করলো তা আর নাই বা বললাম।
তামিম নাই, সাকিব নাই, আনফিট মুশি, , ইয়ংরা ফ্লপ, ইঞ্জুরি আক্রান্ত প্রায় ধুকতে থাকা এই দলটাই এশিয়া কাপের ফাইনালে। এর কৃতীত্ব যতটা না দলের, তার চেয়ে অনেক বেশি মাশরাফির নেতৃত্বের।

ভাগ্যিস আমাদের একজন মাশরাফি আছে <3

ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে আহামরি তেমন রেকর্ড হয়ত থাকবে না মাশরাফির , গ্রেটদের কাতারে মাশরাফির নামও  হয়ত উচ্চারন করবে না কেউ। কিন্তু আমরা, এই জেনারেশন, মাশরাফিকে যারা কাছে থেকে দেখেছি তারা জানি মাশরাফির মাহাত্ব্য কতটা।
আমাদের ক্যাপ্টেন আমাদের হৃদয়ে থাকবে আমৃত্যু।
ক্যাপ্টেন মাশরাফির হাতে এশিয়া কাপ ২০১৮ উঠুক, ফাইনালে ইন্ডিয়াকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লেখা হোক ক্রিকেটগ্রন্থে।।
#সাব্বাস_বাংলাদেশ 

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জয়মনি ইলিশ মাছ রক্ষার দাবিতে সচেতন মূলক আলোচনা।

শেখ রাফসান : আজ সকাল ১১টায় মোংলার জয়মনিতে পালিত হলো ইলিশ মাছ রক্ষার দাবিতে সচেতনতা মূলক আলোচনা। আগামী ০৭ অক্টোবর থেকে  28 শে অক্টোবর  সকল প্রকর নদীতে মাছধরা মাছ পরিবহণ করা নিষিদ্ধ।কারন এই সময় নদীর মাছে ডিম ছাড়ে তাই এই ২২দিন কোন প্রকার জেলে মৌয়ালি ও কাকডা ধরা যাবেনা একটি মাছ ধরতে গিয়ে হাজারো মাছ মারবোনা। এই স্লগানকে সামনে রেখে আমরা সবাই সচেতন হই ও আমাদের সম্পদ আমরাই রক্ষা করি।এই বিষয়ের উপর লক্ষরেখে আলোচনায়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপসস্তিত ছিলেন,জনাব  আবু তাহের হাওলাদার চেয়ারম্যান মংলা উপজেলা সভাপতিত্ব হিসেবে উপস্তিত ছিলে জনাব রবিউল ইসলাম উপজেলা নিবাহি অফিসার মংলা এছাড়াও মংলা উপজেলা মৎস কর্মকতা চাঁদপাই নৌ থানার ওসি মোঃ আবুল হোসেন শরীফ ও চাঁদপাই ফরেস্ট অফিসার সাহিন কবির এছাড়াও এলাকার গন্যমান্য বাক্তি ও বিভিন্ন ধরনের জেলে  উপস্তিত ছিলেন. সভাপতির বক্তবে সবাইকে বলেন,আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন ক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইলিশ  শিকার, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাত ও কেনা-বেচা নিষিদ্ধ থাকবে।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর,  ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জের সব নদ-নদীতে সব ধরনের মাছধরা বন্ধ থাকবে।
সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনা এলাকায় এই ২২ দিন মাছধরা বন্ধ থাকবে।
নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ বেচা-কেনা বন্ধে মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজারে ২২ দিন অভিযান চলবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এই ২২ দিন কোন প্রকর   নদীতে মাছ ধরা ও মাছ পরিবহণ করতে নিষেধ করেছেন।

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হিংস্র বাঘের আক্রমনে প্রান গেল চারটি গবাদিপশুর।

শেখ রাফসান মোংলাঃ আবারও সুন্দরবনে বাঘের হামলায় প্রান গেল চার'টি গরুর। সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি গ্রামের সাহবানু নামক এক মহিলার চার টি গরু গতকাল আনুমানিক পাঁচ টার দিকে বাঘের আক্রমনের শিকার হয়। খবর পেয়ে সাথেসাথে ছুটে যায় সি,পি,জি কর্মি সেখানে গেলে দেখতে পায় হিংস্র বাঘ গরুর কিছু কিছু অংশ খেয়ে পালিয়ে গেছে।পরে গরু গুলো সুন্দরবনের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসে সিজিপির কর্মিরা। সিপিবির কর্মীরা ধারনা করছেন ঘটনা স্থলে একের অধিক বাঘ ছিল। এদিকে  গরু মারাযাওয়ার কারনে সাহবানুর পরিবার আনেকটা  ক্ষতির মধ্যে  পড়েছে বলে জানায় পরিবারের সদস্য'রা গরুর মালিক সাহবানু যানায় সকালে গরুগুলো প্রতিদিনের মত পার্শবর্তী এলাকায় খাবার খাওয়ার যন্য ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসি, বিকালে গরু আনতে গিয়ে দেখি চার'টি গরুই আহত অবস্থায় পড়ে আছে।গ্রামবাসির সাথে কথাবলে যানাযায় বহু দিন ধরে মোংলার বৈদ্যমারী থেকে  জয়মনি প্রর্যন্ত তিন থেকে চার টি বাঘের আনাগোনা পওয়া যায় প্রতিনিয়ত। তরে এলাকাবাশী বলছে বাঘের লোকালয়ে অবাদ বিচরনে আমরা সংকিত। বিগত বছর গুলোর মত শীত মৌসুমে বাঘের বিচারন'টা একটু বেশি থাকে।  এবং শীতের সময় বাঘ গ্রামে এসে বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশু সহ মানুষের পরেও আক্রমন করে। এলাকাবাশী বলেন বছরে গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি গবাদি পশু বাঘের আক্রমনের শিকার হয়।  শীতকালে বাঘে উপদ্রব গ্রামের দিক বলে ধারনা গ্রামবাসির। তারা আরো বলেন বিগত আনেক বছর যাবত ধরে গ্রামে বাঘ আসার কারনে প্রচুর বাঘ মারা'ও পড়েছে। বাঘ সংরক্ষণ টাইগার টিম বলেন তারা গ্রামে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্যো দিয়ে বিগত দুই তিন বছর জাবত কোন বাঘ গ্রামে মারা পড়েনি। তারা ঝুকি পূর্ন সময় রাত জেগে পাহড়া দেয়। যাতে রাস্তায় চলাচলে জনসাধারনের কোন সমস্যা না হয়। এদিকে জেলেদের সাথে কথা বলে যানা যায় বর্তমান বাঘের চাপ রয়েছে  চাঁদপাই রেঞ্জের নন্দবালা,হারবাড়িয়া সহ মিরগারী এলাকায়। বিভিন্ন সময় জেলে উপার আক্রমন করছে ভয়ে আনেকে সুন্দরবন ছেড়ে'ও দিয়েছে। সুন্দরবনে সৈন্দর্য ফিরাতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমাদের বাঘ সংরক্ষন করতে এগিয়ে আসতে হবে পাশাপাশি বাঘের আক্রমন থেকে রক্ষায় সকল কে সজগ দৃস্টি রাখাতে হবে।

আবারও সুন্দরবনে বাঘের হমলা।

আবারও সুন্দরবনে বাঘের হামলায় গরু।সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি গ্রামের সাহবানু নামক এক মহিলার 4টি গরু গত 22/09/18 তারিকে শিকার হয়। খবর পেয়ে সি পি জি কর্মি সেখানে গেলে দেখতে পায় বাঘ গরুর কিছু কিছু অংশ খেয়ে পালিয়ে যায়।পরে গরু গুলো সুন্দরবনের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসে সিজিপির কর্মিরা।তার সনক্ত করেন ওখানে একের অধিক বাঘ ছিল। এদিকে 4টি গরু হারিয়ে সাহবানুর পরিবার আনেক ক্ষতি ম্যধে পড়েছে বলে জানা গেছে। গরুর মালিক সাহবানু সম্পুন ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসি।গ্রামবাসির সাথে কথাবলে যানাযায় বহু দিন ধরে মোংলার বৈদ্যমারী থেকে  জয়মনি প্রর্যন্ত 3 থেকে 3টি বাঘের আনাগোনা পওয়া যাচ্ছে,  বিগত বছর গুলোর মত শীত আসার সময় এবং শীতের সময় বাঘ গ্রামে এসে বিভিন্ন ধরনের পশু শিকার করে।তারা বলেন বছরে প্রায় 10 থেকে 15টি গবাদি পশু বাঘের শিকার হয়।  শীতকালে বাঘে উপদ্রব গ্রামের দিক বলে ধারনা গ্রামবাসির। তারা আরো বলেন বিগত আনেক বছর যাবত ধরে গ্রামে বাঘ আসার কারনে প্রচুর বাঘ মারা পড়েছে। বাঘ সংরক্ষন টাইগার টিম বলেন তারা গ্রামে সঠিক ভাবে দার্য়িত পালনের ম্যধে দিয়ে বিগত দুই তিন বছর যাবত কোন বাঘ গ্রামে মারা পড়েনি। তারা ঝুকি পূর্ন সময় রাত জেগে পাহড়া দেয়। যাতে রাস্তায় চলাচলে জনসাধারনের কোন সমস্যা না হয়।জেলেদের সাথে কথা বলে জনা যায় বর্তমান বাঘের চাপ রয়েছে  চাঁদপাই রেঞ্জের নন্দবালা,হারবাড়িয়া সহ মিরগারী এলাকায়। বিভিন্ন সময় জেলে উপার আক্রমন করছে ভয়ে আনেকে সুন্দরবন ছেড়ে দিয়েছে। সুন্দরবনে সৈন্দয্য ফিরাতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমাদের বাঘ সংরক্ষন করতে এগিয়ে আসতে হবে যানিয়েছেন একদল গবেষক। 

শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জয়মনি গ্রাম থেকে সাপ উদ্ধার।

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি :সুন্দারনের চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি গ্রামের মহারাফ তালুকদার এর বাড়ি থেকে সুন্দরবনের বসবাস কারি মেঘঢুমুর (অজগার) সাপ জলে আটকান আবত্থায় দেখতে পায় বাড়ির লোক ও গ্রামবাসীরা। কিছুখন পর খবর পেয়ে উদ্ধার করতে ছুটে যায় বনবিভাগের ফরেস্ট বিটিআরটি, সি এম সি, টাইগার টিম ও এলাকার সাধারন জনগন।উব্দার কাজের সাথে ছিলেন ফরেস্ট থেকে মনির হোসেন  সিপিসি থেকে এনামুল সরদার সিএমসি থেকে মাসুদ শেখ টাইগার টিম থেকে হানিফ মল্লিক ও বিটিআরটি থেকে আ:মালেক হাওলাদার।
ঘটনাত্থান থেকে জানাযায় সাপটি প্রয় 7-8 ফুট লম্বা ও 6-7 কেজি ওজন হবে। সাপটি জাল কেটে উদ্ধর করে ফরেষ্ট বিভাগ সুন্দর বনে ছেড়ে দেয়।মোংলা থানার বৈদ্যমারী থেকে জয়মনি প্রর্যন্ত প্রতিদিন সাপ পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি গ্রাম থেকে।ত্থানীয় প্রতিনিধি আরো বলেন বিগত কয়েক দিন যাবত জয়মনির বিভিন্ন বাড়ি থেকে সাপ পওয়া যাচ্ছে। রাস্তা ঘাটে রাতে চলাচল খুব বিপদ দেখা দিয়েছে।সুন্দর বনে পানি বৃদ্ধির কারনে ছুটে আসছে বলে গ্রামেববাসীর ধারনা। বিভিন্ন গবেষকদের ধারনা জলবায়ু পর্রিবতনে কারনে সুন্দর বনে ভিতর প্রচুর গরম আবহায়া সৃষ্টি হওয়ায় সাপ গুল ছুটা ছুটি করছে।এভাবে সাপ প্রতিনিয়ত মারা পড়লে যেভাবে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এদিকে সুন্দারবনের সৈন্দয্য হারাচ্ছে। 

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হারবাড়িয়া ইকোট্যুরিজক কেন্দ্র সবচেয়ে বড় সুন্দরবন দেখার যায়গা।

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি :সুন্দারনের চাঁদপাই রেঞ্জের অধীন বনবিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। খুলনা থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং মংলা বন্দর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এই কেন্দ্রে অবস্থান।
একদিনের ভ্রমণে যারা সুন্দরবন দেখতে চান তাদের জন্য আদর্শ জায়গা হাড়বাড়িয়া।
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া টহল ফাঁড়ির পাশেই ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। এর সামনের খালটি কুমিরের অভয়ারণ্য। প্রায়ই লোনা পানির কুমির দেখা যায় এই খালের চরে। তবে কুমির দেখার ভালো সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এই সময়ে রোদ পোহাতে কুমিরগুলো খালের চরে শুয়ে থাকে।
হাড়বাড়িয়ায় সুন্দরনের বিরল মায়া হরিণেরও দেখা মেলে। এখানকার ছোট ছোট খালগুলোতে আছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙাসহ নানান জাতের পাখি। হাড়বাড়িয়ার খালে পৃথিবীর বিপন্ন মাস্ক ফিনফুট বা কালোমুখ প্যারা পাখিও দেখা যায়।
হাড়বাড়িয়া খালের পাড়ে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের সোনালি নামফলক। একটু সামনে এগুলেই বন কার্যালয়। এরপরে ছোট খালের উপরে ঝুলন্ত সেতু। সামনের দিকে জঙ্গলের গভীরতা ক্রমশ বেড়েছে। ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে সামান্য সামনে বিশাল এক পুকুর। পুকুরের মাঝে গোলপাতার ছাউনি সমেত একটি বিশ্রামাগার।
ঘরটির চারপাশে বসার জন্য বেঞ্চ পাতা। পুকুরের পাড় থেকে কাঠের তৈরি সেতু গিয়ে ঠেকেছে ঘরটিতে। বন বিভাগের অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওয়ায় ১৯৯৭-৯৮ সালে বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্মরণে খনন করা হয় এই পুকুর।
পুকুরের দুই পাশ থেকে সামনে চলে গেছে ইট বিছানো পথ। অল্প দূরত্বের দুটি পথই শেষ হয়েছে কাঠের তৈরি হাঁটাপথে। যে কোনো একদিক দিয়ে হাঁটা শুরু করলে অন্যপ্রান্তে এসে শেষ হবে এই পথ। তবে হাতের ডান দিকের ইট বিছানো পথের শেষে রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট একটি জঙ্গল পর্যবেক্ষণ বুরুজ। কাঠের তৈরি এই বুরুজের ওপর থেকে জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
তবে সম্প্রতি ভ্রমণে গিয়ে দেখা গেল এই টাওয়ারের ভগ্নদশা। উপরে ওঠাই বিপজ্জনক মনে হল। এখানকার পুরো ট্রেইলটি এক কিলোমিটারের বেশি।
হাড়বাড়িয়ার জায়গাটিতে বাঘের আনাগোনা বেশি। প্রায়ই বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখা যায়। এছাড়া চিত্রা হরিণ ছাড়াও অন্যান্য বন্য প্রাণীও এখানে দেখা মিলবে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্ত্রীর টাকা নিয়ে স্বামী পালাতক।

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি :গত আট মাস যাবত। মোংলা থানার জয়মনির ঘোল গ্রাম থেকে  সপি শেখ এর মেয়ে লালো বেগম এর স্বামী  মোঃবাবুল ওরপে ডাঃ বাবুল (45) পিতা  মোঃ আজিজ মাতুব্বর ঠিকানা : বাগেরহাট আলী আহাম্মেদ রোড। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত জয়মনির ঠোটা নামক স্তানে জীবিকা উর্পারজনের জন্য ছোট একটি দোকান, মাছ ধরার জন্য একটি নৌকা ও কিছু টাকা নিয়ে বসবাস করে আসছেন। যাহা ছিল সবই স্ত্রী লালো বেগমের। স্ত্রী লালো বেগমের থেকে নগদ টাকা ও এলাকার লোকের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে কাকরার ব্যবসা করেন। কিন্তুু কিছু দিন পর স্ত্রী ও এলাকার লোকের থেকে নেওয়া সকল টাকা ও লালো বেগমের সকল মালামাল বিক্রয় করে পালিয়ে চলে যায়। পালিয়ে যাওয়া পর কিছু দিন যোগাযোগ করলেও পরে আর যোগাযোগ করেনি। ঘটনার সত্যতা যাচাই এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তি কাছে যানতে চাইলে তারা বলেন লালো বেগম নিজে দোকন ও মাছ ধরে কঠোর পরিশ্রম করে যে টাকা উর্পারজন করে ছিল সকল টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে এলাকাবাসীর আভীযোগ। 

সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দুধের টাকা যোগাতে না পেরে নুন খায়িয়ে শিশুকে।

অভাবের সংসারে দুধের টাকা যোগাতে না পারায় দুই মাসের শিশু সন্তানকে লবণ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে।
রোববার( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকার দোহার উপজেলায় উপজেলার উত্তর জয়পাড়া মিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির মাকে আটক করেছে দোহার থানা পুলিশ।
জানা গেছে, তিন বছর আগে উপজেলার উত্তর জয়পাড়া মিয়াপাড়া এলাকার শেখ বাদশার ছেলে শেখ বাচ্চুর সাথে পাশ্ববর্তী খালপাড়া গ্রামের তোতা খালাসীর মেয়ের বিয়ে হয়। বাচ্চু শেখ রাজমিন্ত্রীর কাজ করে সংসার চালাত। তাদের ঘরে সাবিহা আক্তার নামে দুই বছরের একটি মেয়ে সন্তান ও মো. সায়েম নামে দুই মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
অভাবের সংসার তাদের। রোববার সকালে সায়েমের দুধ আনার জন্য স্বামীকে বলে সাথী। বিকেল পাঁচটার দিকে স্বামী দুধ না নিয়ে বাড়িতে আসলে সন্তানের দুধের টাকা যোগানোর জন্য আশপাশের কয়েকজনের কাছে ধর্না দেয় সাথী।
টাকা যোগাতে না পেরে সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে গিয়ে রাগে-ক্ষোভে দুই মাসের সন্তান সায়েমকে লবণ খাইয়ে দেয় সে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সাথী নিজেই সায়েমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে হাসপাতালে যান বাবা মো. বাচ্চু।
সুএ : সময়ের কন্ঠসর।

মুক্তিযোদ্ধার ভাই-বোন পাবেন ভাতা।

মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার হিসেবে স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, পিতা-মাতার অবর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার ভাই-বোনকে ভাতা গ্রহণের অধিকার দিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন- ২০১৮ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
এছাড়া নতুন আইনে প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও নিয়মিত আয়ের উৎস থাকা মুক্তিযোদ্ধাদেরও সম্মানীভাতার পাওয়ার অধিকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে সোমবার বিলটি উত্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
বিলে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুবিধাভোগী কারা হবেন, তা স্পষ্ট করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ট্রাস্টের মালিকানাধীন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির উন্নয়ন রক্ষণাবেক্ষন ও ব্যবস্থাপনা করবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা বা অন্য কোন ভাতা বা সম্মানী প্রদান করবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীকে ভাইস চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত চারজন মুক্তিযোদ্ধা এমপি বা উত্তরাধিকারী, অর্থ সচিব, শিল্প সচিব, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও ট্রাস্ট্রের এমডিকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্র গঠিত হবে।
সুএ :সময়ের কন্ঠসর। 

রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বাগেরহাটে রোগী ও তার স্বজনকে চড় দিলেন চিকিৎসক।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের হাতে রোগী ও স্বজনদেরকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাইনি ওয়ার্ডের দুই প্রসূতি ও এক রোগীর স্বজনকে মারধর করেন হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তা সিভিল সার্জন দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

তবে, ঘটনার পরপরই গাইনি কনসালটেন্ট ডা. আবুল কালাম আজাদ সিভিল সার্জন অফিসে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। 

মারধরের শিকার রোগীরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চমালা গ্রামের জাহিদুল বাবুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), গাজীরঘাট গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী রজীনা বেগম (২০), এবং রজীনার মা নাছিমা বেগম (৪৫)।

নাছিমা বেগম বলেন, ‘সন্তান প্রসবের জন্য রোববার ভোরে বাড়ি থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি । তখন ডাক্তার ভর্তি করে নেন। আজ সকাল ১০টার দিকে ডা. আবুল আজাদ আসেন নিয়মিত রাউন্ড দিতে। তখন আমার মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়। আমাকে মেয়ে জড়িয়ে ধরে ছিল। ডাক্তার সাহেব এসে আমাকে বের হতে বলেন। আমার বের হতে দেরী হলে আমাকে দুটি চড় মারেন। আমি চড় খেয়ে ঘুরে পড়ে যাই। ডাক্তার সাহেব আমার চিকিৎসা না দিয়ে মেয়ের মাথার উপর থাপ্পড় মারে।’

সদ্য ভূমিষ্ট সন্তানের মা রোজিনা বেগম বলেন, ‘সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে এসে মার খেলাম। এর থেকে কষ্টের আর কি আছে। আমরা এ ডাক্তারের বিচার চাই।’

অন্য রোগী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘রোজিনাকে মারধর করে আমার বেডে আসেন। তখন আমাকে বলে এ তোর তো কাল যাওয়ার কথা, তুই যাসনি কেন। এ বলেই আমার মাথায় থাপ্পড় দেয়।’

গাইনি ওয়ার্ডের অন্য আরেক রোগী মাহিনুর বলেন, ‘ডাক্তার এভাবে রোগীকে মারধর করে তা আগে কখনও দেখিনি। সকালে এ ডাক্তার মারলেন। এর আগে শনিবার রাতে আলট্রাসোনোগ্রাম করার সময় ডাক্তার আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করেন। গাইনি ওয়ার্ডে একজন নারী চিকিৎসক দিলে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যেত।’

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুণ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম। খবর পেয়ে আমি ওয়ার্ড মাস্টারকে গাইনি ওয়ার্ডে পাঠাই। পরে মারধরের শিকার রোগীরা এসে আমার কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে উপস্থিত সকলের কথা শুনে সত্যতা পাই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। যত দ্রুতই সম্ভব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে মোংলায় বিশ হাজার পরিবার দূরর্ভোগে।

শেখ রাফসান চিলা মংলা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে  মংলার থেকে চিলা,জয়মনি প্রর্যন্ত প্রয় বিশহাজার এর মতো ঘরবাড়ি মসজিদ মন্দির গিজাসহ বসতিবাড়ি  ভেঙ্গে নদীর সাথে মিসে যাচ্ছে।  জলবায়ু পরিবর্তনে ও নদী ভাঙ্গনে সাধারন মানুষের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে  ০৯/০৯/২০১৮ আজ সকাল ১১টায় চিলার বাজারে এক নৌরেলির আয়োজন করা হয় এসময় উপস্তিত ছিলেন পশুর রিভার ওয়াটার কিপার এর সভাপতি মংলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম শেখ ও বিভিন্ন গন মাধ্যমের সাংবাদিক  সহ নানা পেশার মানুষ।  সভাপতির বক্তিতায় মোঃ নুর আলম শেখ বলেন বর্তমান বিশহাজারের মতো পরিবার এই নদীর পাশে বসাবস করে প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনে   প্রচুর পরিমাণ পানি বেড়ে যাওয়াই  এলাকার সাধারন মানুষের ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট নদীর সাথে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন,এবাবে যদি চলতে থাকে তহলে সাধারন মানুষের রাস্তায় নামা ছাড়া আরকোন উপায় থাকবেনা।তিনি আরো বলেন সরকারের. দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন না করলে প্রয় 25000 হাজার লোক দূভোর্গে পড়বে। 

শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বাসের ধাক্কায় দুই সন্তানসহ বাবা নিহত, মা আহত।

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি :পঞ্চগড়ে বাসের ধাক্কায় দুই শিশু সন্তানসহ এক বাবা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন মা। আজ শনিবার রাতে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের ধনীপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মোটরসাইকেলে দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা ঠাকুরগাঁও থেকে পঞ্চগড়ের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি ইউনিয়নের কাউনি কুয়াপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আখতারুজ্জামান আকতার (৪৫), তাঁর দুই সন্তান আফছা ইবনাত আদিয়া (৬) ও মো. আব্দুল্ল্যাহ (১৪ মাস)। আখতারুজ্জামান আকতারের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুএ :এনটিভি। 

বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবারের এ ঘটনায় এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নে চাকিরপশার তালুক জোলাপাড়া গ্রামে।
কৃষকরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। প্রচণ্ড তাপদাহে এ অঞ্চলের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠে। এমনকি বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা স্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প ব্যবহার করে আমন ধানের চারা রোপন করেন। প্রখর রোদ্রের কারণে শিশু-বয়বৃদ্ধরা সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রখর খরায় আমন ধানের লাগানো ক্ষেত ফেঁটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড রোদ্রের তাপে শাক-সবজির ক্ষেতও পুড়ে মরে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে আকাশ মেঘ থাকলেও নেই বৃষ্টি। অনাবৃষ্টির কারণে খাল-বিল পানি শুন্য হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। খাল-বিলের মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার তালুক জোলাপাড়া গ্রামের গৃহবধূরা বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করে। ওইদিন দুপুরে গ্রামের বিষাদুর বাড়ির উঠানে  হিন্দুশাস্ত্রীয় মতে দুটি ব্যাঙ ধরে নিয়ে এসে বর-কনে সাজিয়ে রাখা হয়। ওই উঠানেই কলারগাছ পুঁতে মারোয়া সাজিয়ে ধুমধাম করে ব্যাঙ দুইটির বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় কেউ কেউ বর-কনের আত্মীয় হয়ে রীতিমতো ব্রাক্ষণ দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে। পরে বর-কনেকে নিয়ে গ্রামবাসীরা গ্রাম পরিভ্রমণ করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত দর্শণার্থী ব্যাঙের বিয়ে দেখতে ওই এলাকায় ভিড় জমায়। বিয়ের পরে উপস্থিত দর্শনার্থী ও উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজনদের জন্য ভূড়িভোজের আয়োজন করা হয়।  

ইলিশের জীবনরহস্য খুজে পেল গবেষক।

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি :বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সফলতার কথা জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান মোল্লা, বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলাম ও ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মুহা. গোলাম কাদের খান।
গবেষণা কাজটি গবেষকদের নিজস্ব উদ্যোগ, স্বেচ্ছাশ্রম এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর পূর্ণাঙ্গ জিনোম গবেষণার যুগে প্রবেশ করলো। প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম মনে করছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গবেষকদের সক্ষমতা প্রমাণ হয়েছে।
এর আগে দেশি ও বিদেশি গবেষকদের সমন্বয়ে পাট ও মহিষের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়েছে। এরপর ইলিশে এই সাফল্যকে মৎস্যখাতের জন্য যুগান্তরকারী বলে মনে করছেন গবেষকরা।
ইলিশের জিনোম বিশ্লেষণ করে গবেষকরা ৭৬ লাখ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড পেয়েছেন; যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক চতুর্থাংশ। এ ছাড়াও ইলিশের জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে ২১ হাজার ৩২৫টি মাইক্রোস্যাটেলাইট (সিম্পল সিকোয়েন্স রিপিট সংক্ষেপে এসএসআর ) ও ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০০টি সিঙ্গেল নিউক্লিওটাইড পলিমরফিজম (এসএনপি) পাওয়া গেছে।
‘জিনোম’ হচ্ছে কোনো জীব প্রজাতির সকল বৈশিষ্ট্যের নিয়ন্ত্রক। অন্য কথায় জিনোম হচ্ছে কোনো জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের অঙ্গসংস্থান, জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ সকল জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এর জিনোমে সংরক্ষিত নির্দেশনা দ্বারা। পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং হচ্ছে কোনো জীবের জিনোমে সমস্ত নিউক্লিওটাইড কীভাবে বিন্যস্ত রয়েছে তা নিরূপণ করা। একটি জীবের জিনোমে সর্বমোট জিনের সংখ্যা, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের কাজ পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স থেকেই জানা যায়।

শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মধ্যরাতে ছাত্রী হোস্টেলে নাইটগার্ডের কাণ্ড

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি: মধ্যরাতে ছাত্রী হোস্টেলে- ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) ছাত্রী হোস্টেলে ‘ভূত’ সেজে ছাত্রীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে নাইটগার্ডের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ‘ভূতের’ ভয়ে পাঁচজন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সাথী, তিথি ও সুমাইয়া নামে তিন ছাত্রীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নাইটগার্ড হাসেম মেয়েদের বাথরুমে ঢোকে। এ সময় বাথ রুমে ঢুকে নাইটগার্ড ভৌতিক আওয়াজ শুরু করে। ভয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে নাইটগার্ড মাহিন নামে এক ছাত্রীর নাম ধরে ডাকে। এ সময় সাথী নামে এক ছাত্রী উঁকি দিয়ে দেখেন নাইটগার্ড সাদা পোশাক পরে জানালার পাশে দাড়িয়ে আছেন। এই দৃশ্য দেখে সাথী, তিথি, সুমাইয়া, ববি ও লুনা ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ভয়ে এ সময় ছাত্রী হোস্টেলের আরও ৬ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তিনজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সাভারের বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো চালাচ্ছে গলাকাটা বাণিজ্য'



শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি  ঃ সাভার, আশুলিয়ায় অনুমতি ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে অনেক ক্লিনিক। নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। প্রায়ই ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগী। সাভার ও আশুলিয়ায় অনুমতি ছাড়াই গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব সেবা কেন্দ্রে নেই পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। এতে প্রতিনিয়ত ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

সাভারে অনুমোদনহীন নিম্নমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবার নামে চলছে 'গলাকাটা বাণিজ্য'। এসব প্রতিষ্ঠান রোগীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এতে মানবিক সেবার নামে চিকিৎসা সেবা প্রতিনিয়ত কলঙ্কিত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি বেড়েই চলেছে রোগি মৃত্যুর হার।

ভুক্তভোগীরা বলেন, 'যে ডাক্তারের কাছেই যায় বলে এইটা না ওইটায় যাও। অনেক টাকা পয়সা শেষ হয়ে গেছে আমাদের। ডাক্তারের পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে তারা ব্যবসায়ীক পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করে তারা।'

অভিযোগ অস্বীকার করে এসব নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ক্লিনিক মালিক সমিতির এ কর্মকর্তা। আশুলিয়া থানা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আসাদউল্লাহ আসাদ বলেন, 'যারা আসলেই ডাক্তার আসলেই নার্স এবং ফার্মাসিস্ট তারায় যেন এই পেশার সঙ্গে জড়িত হয়।'

এদিকে, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু ও অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ডা. মোহাম্মদ আমজাদুল হক বলেন, 'মানুষের সঙ্গে অসৎ আচরণ করছে। অনৈতিক পেশায় জড়িত হচ্ছে যারা তাদের বিষয়ে আমরা সজাগ আছি।, তাদের বিষয়ে আমরা কমিটি তৈরি করছি।' বেসরকারি হিসেব মতে, উপজেলায় ক্লিনিক ও হাসপাতালের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক। যেখানে নিবন্ধিত হাসপাতাল সংখ্যা ১২৪টি।

শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

এশিয়া কাপে টাইগারদের ম্যাচ কবে, কখন

চলতি মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬টি দল নিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৪তম আসর। উদ্বোধনী দিনেই বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। সামনের বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে এবারের আসরটিকে ওয়ানডে ফরমেটে করা হয়েছে। 
এবারই প্রথমবারের মতো ৬টি দল নিয়ে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে শুরু হবে এই আসরটি। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী দুই টেস্ট খেলুড়ে দল শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। আর ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে এশিয়ার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। অপর আরেকটি হবে বাছাই পর্বের বাধা পেরিয়ে আসা দল। 
এশিয়া কাপের একটি দল নির্বাচনের জন্য ২৯ আগস্ট থেকে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, ওমান, মালয়েশিয়া ও হংকং এর মধ্যে শুরু হয়েছে বাছাইপর্ব। এদের মধ্য থেকে সেরা দলই হবে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপ সঙ্গী।
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচই হবে আরব আমিরাতের দুই শহর আবুধাবি ও দুবাইয়ে।প্রতিটি ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হবে।
এর আগে, এশিয়া কাপের সর্বশেষ তিন আসরই হয়েছিল বাংলাদেশে। এর আগে ওয়ানডে ফরমেটের ফাইনালে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে হওয়া আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে হারে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্ব: ১৫ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (দুবাই) ১৬ সেপ্টেম্বর- পাকিস্তান বনাম কোয়ালিফায়ার (দুবাই) ১৭ সেপ্টেম্বর- শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান (আবুধাবি) ১৮ সেপ্টেম্বর- ভারত বনাম কোয়ালিফায়ার (দুবাই) ১৯ সেপ্টেম্বর- ভারত বনাম পাকিস্তান (দুবাই) ২০ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান (আবুধাবি)
সুপার ফোর: ২১ সেপ্টেম্বর- গ্রুপ-এ চ্যাম্পিয়ন বনাম গ্রুপ-বি রানার্সআপ(দুবাই) ২১ সেপ্টেম্বর- গ্রুপ-বি চ্যাম্পিয়ন বনাম গ্রুপ-এ রানার্সআপ (আবুধাবি) ২৩ সেপ্টেম্বর- গ্রুপ-এ চ্যাম্পিয়ন বনাম-গ্রুপ-এ রানার্সআপ (দুবাই) ২৩ সেপ্টেম্বর- গ্রুপ-বি চ্যাম্পিয়ন বনাম-গ্রুপ-বি রানার্সআপ (আবুধাবি) ২৫ সেপ্টেম্বর- গ্রুপ-এ চ্যাম্পিয়ন বনাম গ্রুপ-বি চ্যাম্পিয়ন (দুবাই) ২৬ সেপ্টেম্বর- গ্রুপ-এ রানার্সআপ বনাম গ্রুপ-বি রানার্সআপ (আবুধাবি)

দুর্ধর্ষ ওরা ২৪ জন!

পরনে কালো টি-শার্ট আর অফ হোয়াইট রঙের প্যান্ট। কালো মুখোশ আর চশমায় ঢাকা মুখ। হাতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। দেশমাতৃকার জন্য তাদের বুকে অদম্য সাহস আর চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা। ডাক পড়লেই অ্যাকশনে নামতে প্রস্তুত। ঠিক এরকম ভূমিকায় দেখা গেল সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) নতুন টিম ‘ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি)’ এর ২৪ সদস্যকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষায়িত পুলিশ টিমের প্রশিক্ষকদের অধীনে জর্ডান ও সিলেটে প্রশিক্ষণ শেষে যাত্রা শুরু করেছে এসএমপির এই সিআরটি টিম। জঙ্গি দমন, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, বড় ধরনের সহিংস ঘটনাসহ রুদ্ধশ্বাস যেকোনো অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়তে সর্বদাই তৈরি এই দুর্ধর্ষ ২৪ পুলিশ সদস্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসএমপির অধীনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ) এর কার্যক্রম চলছে। তবে সিটিইউ থেকে আরও উন্নত ও প্রশিক্ষিত একটি ইউনিট গড়ার তাগিদে জন্ম নেয় ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি)। এই বিশেষায়িত ইউনিটের জন্য বাছাই করা ২৪ পুলিশ সদস্যকে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি।
অ্যান্টি টেরোরিজম অ্যাসিসট্যান্স (এটিএ) প্রজেক্টের আওতায় ওই পুলিশ সদস্যদের গত জুনে পাঠানো হয় জর্ডানে। তাদেরকে সেখানকার পুলিশ ট্রেনিং কলেজে পাঁচ সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ৮ জন প্রশিক্ষক। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট সোয়াত যেভাবে কাজ করে, সেভাবেই সিআরটি কাজ করতে পারে।
এই সিআরটি টিমের কমান্ডার এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর দপ্তর) শাহরিয়ার আল মামুন, টিম লিডার হিসেবে আছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আহমেদ পিয়ার ও মুনাদির ইসলাম চৌধুরী। বিশেষায়িত এই টিমে ২ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৬ জন উপ-পরিদর্শক, ২ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক, ২ জন নায়েক ও ৯ জন কনস্টেবল রয়েছেন।
গত বুধবার দুপুরে সিলেট পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে সিআরটি টিমের যাত্রা শুরু হয়। এ সময় সিআরটির কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলেন ধরা হয়। সিআরটি টিমের বিষয়ে এর কমান্ডার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর দফতর) শাহরিয়ার আল মামুন বলেন, ‘উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিআরটি টিমের সদস্যদের মনোবল ও গতি বেড়েছে।
সুএ :প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক

আকাশপথে দেশে ঢুকছে নতুন মাদক ‘খাত’ !

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি : ইয়াবার পর ‘খাত’ নামে নতুন মাদক দেশে আসতে শুরু করেছে। নতুন এই মাদক দেখতে অনেকটা চায়ের পাতার গুঁড়োর মতো। পানির সঙ্গে মিশিয়ে এটি সেবন করা হয়। সেবনের পর এটি মানবদেহে ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
তবে ফেনসিডিল-ইয়াবার মতো সীমান্ত দিয়ে নয়, আকাশপথে আসা শুরু হয়েছে ‘খাত’ নামক নতুন এই মাদক।
শুক্রবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চার’শ কেজি নতুন এই মাদকের চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল।
সার্বিক তত্ত্বাবধানের ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) ডিআইজি মাসুম রব্বানী। এনপিএসের চালানটি কয়েক দিন আগে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে এসেছে।
সুএ:সময়ের কন্ঠস্বর 

চলনবিলে নৌকা ডুবিতে ৩ জনের লাশ উদ্ধার

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরের চলনবিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচ জনের মধ্যে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। এ নিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দলের প্রধান মো. নুরুন্নবী আরটিভি অনলাইনকে জানান, শনিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর কলাম লেখক মোশারফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন পারুল, ঈশ্বরদী আমবাগান এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম স্বপন বিশ্বাস এর মেয়ে সাদিয়া খাতুন এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় দুর্ঘটনা কবলিত নৌকাটিও উদ্ধার করে উদ্ধারকারীরা।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে উদ্ধার করা হয় ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণি’র স্ত্রী মমতাজ পারভীন শিউলীর এর মরদেহ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চলনবিলের চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাইকপাড়া ঘাট এলাকায় নৌকাডুবির এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুএঃএনটিভি

ব্যয়বহুল চিকিৎসার কথা শুনে সন্তান রেখেই পালাল মা-বাবা!

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি:  কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গর্ভকালীন ছাব্বিশ সপ্তাহের পর ভূমিষ্ট এক অপরিপক্ক ছেলে শিশুর ব্যয়বহুল চিকিৎসার কথা জানতে পেরে তার মা-বাবা শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে গেছে। ছেলে শিশুটিকে বাঁচাতে এখন রাখা হয়েছে হাসপাতালটির নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (ইনকিউবিউটর)। এ বয়সের শিশুটি বেঁচে থাকার কথা না থাকলেও নিবিড় পরিচর্যায় বেঁচে আছে সে। ধীরে ধীরে সে বেড়ে উঠছে। জন্মের চৌদ্দ দিন পেরিয়ে গেলেও মা-বাবা আর সন্তান নিতে ফিরে আসেনি।
মা ও শিশু স্পেশালাইজড হসপিটালের ইনচার্জ ডা. মেহেদী হাসান জানান, চলতি মাসের ১৮ তারিখে মাত্র ছয় মাসের এক গর্ভবতী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। ঐদিনই ভূমিষ্ট হয় একটি শিশু। যার ওজন মাত্র সাতশ' গ্রাম। সাধারণত এ বয়সের শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। শিশুটিকে বাঁচাতে রাখা হয় নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে।
মা ও শিশু স্পেশালাইজড হসপিটালের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউল আলম চৌধুরী জানান, ভর্তি হওয়ার ছয় দিনের মাথায় ব্যয়বহুল চিকিৎসার কথা জানতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় গর্ভধারিনী মা ও তার বাবা। বহু চেষ্টা করেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের আর খোঁজ পায়নি। ভর্তির সময়ে দম্পতির বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বলে জানিয়েছিল। এদিকে সে থেকে শিশুটি পরিচর্যা ইউনিটে থাকায় প্রতিদিন তার পেছনে খরচ হচ্ছে ১৫ হাজার টাকারও বেশী। শিশুটির বাবা মাকে খুঁজে পেতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
সুএ :বাংলাদেদ প্রতিদিন

এক বছরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম, গর্ভবতী আরও ২০ হাজার

সরকারি হিসাবমতে, গত এক বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নিয়েছে ৬০ হাজার শিশু। আর বর্তমানে গর্ভবতী আছেন আরও ২০ হাজার নারী। তবে বেসরকারি হিসাবমতে, এ সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
জন্মের হার যেভাবে বাড়ছে তা যদি অব্যাহত থাকে তা হলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সে চিন্তাই অস্থির হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা না গেলে সামনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
কক্সবাজারে কর্মরত ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক আমাদের ঢাকা অফিসের জরিপ অনুযায়ী, গত এক বছরে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার নবজাতক জন্মগ্রহণ করেছে। অন্যদিকে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গর্ভবতীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৩২ জন। সে হিসাবে চলতি বছর শেষ হতেই ১১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে যোগ হবে আরও প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা।

আবাসিক হোটেল কক্ষে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ, তরুণ গ্রেফতার

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বরিশালের গৌরনদীতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতার নবীন ঘরামী (২০) গৌরনদী পৌরসভার বানিয়াশুরী এলাকার দুলাল ঘরামীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই মোশারফ হোসেন জানান, গত ৬ মাস আগে মোবাইল ফোনের মিসকলের মাধ্যমে নবীন ঘরামীর সঙ্গে গোবর্ধন এলাকার এক তরুণীর (২৩) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নবীন যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৮ আগস্ট বিকালে বরিশাল নগরীতে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে বরিশাল শহরের একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে নবীন ঘরামী।

বাংলাদেশি কিশোরীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি

 
অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের প্রবেশের সময় ভারতীয় এক দালাল বাংলাদেশি এক নাবালিকাকে জিম্মি করেছিল। এক লক্ষ টাকার মধ্যে কোনও রকমভাবে ছয় হাজার টাকা দিয়ে ভাগ্নিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে গিয়ে দালালদের হাতে ব্যাপক মারধর খেতে হয়েছে মামাকেও। জিম্মির ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদিও আটকে থাকা বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ।
তবে জিম্মি-কারী দালালকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও জিম্মির ঘটনায় সহায়তা করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে ভারতীয় দালালের মা সহ দুই বোনকে।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বনগাঁ থানা এলাকার কালীতলায়।
বনগাঁ থানায় এই ব্যাপারে একটি অপহরণের মামলা করেছেন নাবালিকার মামা অর্জন দেবনাথ।
 বনগাঁ থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের অর্জন দেবনাথ বলেন, রাজু নামের এক সীমান্ত দালালের মাধ্যমে নদীয়া কৃষ্ণনগরে  মামা বাড়ি আসছিল ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্ত অতিক্রম করে তারা।
এরপর ভাগ্নিকে রাজু ও ফটিক নামের দুই দালাল আটকে রেখে অর্জন দেবনাথকে খবর দেয়।
তাকে এক লক্ষ টাকা নিয়েও আসতে বলা হয়। শুক্রবার রাতে অর্জন বনগাঁ পৌঁছান।
 দালালরা তার হাত থেকে এটিএম কার্ড নিয়ে পিন নম্বর চেয়ে জোর করে ব্যাঙ্ক থেকে ছয় হাজার টাকাও তুলে নেয়। বাকি না দিতে পারায় তাকেও মারধর করা হয়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে অর্জন বলেন, বাকি টাকা তিনি যোগার করে আনতে নদীয়া যাবেন। তাই তাকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
 
দালালরা সেই কথা শুনে তাকে ছেড়ে দিলে অর্জন সরাসরি বনগাঁ থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানায়। পুলিশ এরপরই অভিযান চালিয়ে কালীতলা এলাকা থেকে ফটিকের বাড়িতে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। যদিও অভিযুক্ত রাজু ও ফটিককে পায়নি পুলিশ।
ফটিকের মা ও দুই দিদিকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটি অভিযোগ করে, গোটা ঘটনায় ফটিকের পরিবারও ফটিককে সহায়তা করেছিল।
সুএ :সময় টিভি

বাসর রাত তাই চিৎকার করেনি, রক্তক্ষরণেরই কিশোরীর মৃত্যু

শেখ রাফসান মংলা প্রতিনিধি: সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রাম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা। মহিলা রোগী, পরনের চাদর রক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে।রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হিষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে? রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে।
ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো!’
ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবাই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়।
কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স। বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে। মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি।

মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।
বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কোথায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে।’


বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে। যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত। পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন।
মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধর্ষণ না বলে উপায় নেই।
ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি। হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চেষ্টা।
সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি রক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত রক্ত যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে সাদা ফ্যাকাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ!
ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অচেতন হয়ে শুয়ে আছে।
তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর। তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যঙ্গাত্মক হাসি তামাশা করছিল। যেন সব দোষ ফুলির। লজ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভয় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচণ্ড শব্দ। আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই।
ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন। ভয়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌনাঙ্গ ও তার আশপাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও রক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে রক্ত দেয়া দরকার। জরুরি অবস্থায় অপারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে।
এই ভয়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা কর্তব্যরত ডাক্তারের।
ম্যাডামকে ফোন করা হল...
প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য রক্ত দরকার...
রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমারজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দরকার। তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কেটে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা রক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে!

ডাক্তার তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না...

রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা রক্ত জোগাড় করতে রাজি হল। কিন্তু রক্ত আর সেই রাতে জোগাড় হল না।

অপারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল।

সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, রক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন রক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষধ কেনার খরচ কিছুটা বাঁচবে। কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে।

রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল। আরও বেশি অসুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ। এই সমাজের প্রতি ঘৃণায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে!

ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না।

শ্বশুরবাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ মরলে দশটা বউ পাওয়া যায়!

ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ঘটনা গুলো চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।

‘সুন্দরী নারী থাকলে ধর্ষণও থাকবে’

সুন্দরী নারী যত দিন থাকবে ততদিন ধর্ষণও অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রুদ্রিগো দুতার্তে। সম্প্রতি নিজের শহর দাভাওতে ধর্ষণের পরিসংখ্যানের উপর পুলিশের একটি প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তবে তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নারীবাদী সংগঠনগুলো।
দুতার্তে বলেন, পুলিশ জানিয়েছে দাভাও-তে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু যত দিন সুন্দরী নারী বেশি থাকবে, তত দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ধর্ষণ।
তিনি আরও বলেন, প্রথম অনুরোধেই কেউ সম্পর্কে আসেন না। নারীরা অন্তত নয়। প্রথম আবেদনে কেউ যদি সাড়া না দেয়, তা হলে ধর্ষণ করতে হয়।

প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন ফিলিপিন্সের একাধিক নারীবাদী সংগঠন। তাদের মতে, প্রেসিডেন্টের এমন অশ্লীল কথায় আমল না দেওয়াই ভালো। এমনকি ধর্ষণ নিয়ে রসিকতা করার বিষয়টিরও নিন্দা করেন তারা। ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য প্রথম নয়। এর আগে বহুবার অশ্লীল এবং নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালে ফিলিপিন্সের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেনাদের নির্দেশ দেন, তিন নারীকে ধর্ষণ করলে, শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে না।

‘ক্ষমতা ভোগের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নই লক্ষ্য’

শেখ রাফসান মংলা পতিনিধি : মতা ভোগের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নই লক্ষ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ৭ মার্চ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এজন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দকে ব্যয় নয়, বরং তা বিনিয়োগ বলে মনে করে তাঁর সরকার।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যে প্রাধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ বাঙালীর ইতিহাস- ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যার স্বীকৃতি মিলেছে ইউনেস্কো থেকেও।বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা এনেছিল বাঙালী। জাতীর জনকের ঐতিহাসিক সেই ভাষনের দিনটি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে নির্মাণ করা হলো ৭ মার্চ ভবন।
বঙ্গববন্ধুর হত্যাকন্ডের ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসনই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। ক্ষমতা দখলকারীরা ছাড়া সবাই তখন সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
তবে বর্তমান সরকার সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়ন করছে বলে জানান তিনি। লক্ষ্য উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌছে দেয়া। তিনি বলেন, ক্ষমতা ভোগের নয়। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।
এসময়, দেশের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের যোগ্যতা অর্জনের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরনে তিনি। বলেন, শিক্ষাকে বহুমূখীকরনে কাজ করছে তাঁর সরকার।
শিক্ষাকে দারিদ্র বিমোচনের হাতিয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যায় গড়ে তুলে শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে, সৃস্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। যার ফলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সুএ :এনটিভি। 

fun videos